যুগের চাহিদাকে সামনে রেখে শিক্ষা-সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধ পথিকৃত ঠনঠনিয়া নুরুন আলা নুর ফাযিল মাদ্রাসা আরও সমৃদ্ধ করতে রুপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন ও উন্নত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে যুগোপযোগী, প্রযুক্তি নির্ভর , বিজ্ঞানসম্মত ও মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে আগামীদিনের দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে তোলার জন্য ঠনঠনিয়া নুরুন আলা নুর ফাযিল মাদ্রাসায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
এক বিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রথম সোপান হল শিক্ষা। সুশিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। শিক্ষার মাধ্যমেই তৈরি হয় সৎ, দেশপ্রেমিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন সুনাগরিক। শিক্ষা ছাড়া মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম,মানবতা ও নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয়। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে আধুনিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপে গড়ার ক্ষেত্রে যুগোপযোগী ও প্রযুক্তি নির্ভর মানসম্মত শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
শিক্ষার ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হচ্ছে অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি। নিয়মিত বিভিন্ন ধরণের আধুনিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জন এবং ‘ভিশন-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের সবাই একযোগে কাজ
বিস্তারিত
মাদরাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
১। ছাত্রদের কোরআন ও হাদিস শরীফের ইলাম অর্জন ও তদানুযায়ী আমলে অভ্যস্থ করা ।
২। নাবিয়্যীন, সিদ্দিকীন, শোহাদা ও ছালেহীনের আদর্শের আলোকে ছাত্রদের জীবন গঠন করা ।
৩। ছাত্রদের সুন্নাতে নববীর পূর্ণাঙ্গ অনুসারি হিসেবে গড়ে তোলা ।
৪। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আদর্শে ও আকিদার ছাত্র দের গড়ে তোলা ।
৫। বাংলাদেশের একজন আদর্শ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ।
মাদরাসা বৈশিষ্ট্য
*বোর্ড রির্ধারিত সেলেবাস ছাড়া ও প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত বিষয় শিক্ষ দান ।
*নবম শ্রেণি হতে বিঞ্জান বিভাগ ও কম্পিউটার শিক্ষার সু-ব্যবস্থা ।
*বার্ষিক অর্ধবার্ষিক পরিক্ষা ছাড়াও সাপ্তাহিক ও মাসিক পরিক্ষা ব্যবস্থা ।
*নূরানী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক দ্বারা কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা ।
*অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত
26 Sep, 2024 |
19 Sep, 2024 |
03 Sep, 2024 |
03 Sep, 2024 |
27 Aug, 2024 |
17 Jul, 2024 |
11 Jul, 2024 |
02 Jul, 2024 |
24 Jun, 2024 |
08 Jun, 2024 |
আল-হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলআমিন , আছছালাতু ওয়াসসালামু আলাই সায়্যিদিল মুরসালিন ওয়া রাসুলিহিল কারিম । আম্মা বাদ-এ বাংলাদেশ যখন ইসলামি তাহায়িদ তাম্দ্দাুন বলতে কিছু ছিলনা, এ দেশের মানুষ যখন বিভিন্ন অপসংস্কৃতি নিমজ্জিত , ঠিক সময়ে মুসলমানদের সন্তানদের ইসলামি তাহাযিব তামাদ্দুনে উজ্জীবিত ও দ্বিন ইসলামে সঠিক জ্ঞান আহরন পুর্বক অহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়েতের আকিদা লালন করে এক দল সত্যিকারে ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া তথা দ্বিনদার সুনাগরিক তৈরী লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কে সামনে নিয়ে শাহু সুফি হযরত মাওলানা মোঃ জয়নাল আবেদীন পীর কেবলা (রহঃ) ১৯৪২ ঈসাব্দে অত্র ঠনঠনিয়া নুরুুল আলা নুর ফাযিল মাদারাসাটি এলাকার জনগনের সগযোগিতায় প্রতিষ্ঠা করেন । তখন থেকে সে লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই মাদরাসাটি পরিচালিত হয়ে আসছে । বর্তমানে আমরাও তার সে চিন্তা ও চেতনাকে মাথায় রেখে মাদরাসার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনায় বিশেষ করে ছাত্রদেরকে ইলম ও আমলের সমন্বয়ে গড়ে তোলার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি । তাই এর কাংখিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পুরানে অভিভাবক ও ছাত্রসহ সকল মহলের আস্তরিকতা সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন । আমাদের চেষ্টা , সাধনা ও পরিকল্পনা যতই আন্তরিক হোক না কেন ;শিক্ষক ছাত্র ও অভিভাবক এ ত্রিমুখী শক্তির সমন্বয় ছাড়া কোন চেষ্টা , সাধনা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্বব নয় । তাই আমাদের প্রত্যাশা ডায়েরী ব্যবস্থা আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে প্রতক্ষ্য পালন করবে ইনশাআল্লাহৃ ।
আাধুনিক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় ডায়েরী এক অত্যাবশাকীয় শিক্ষা উপকরণের ভুমিকা পালন করে থাকে । পরিকল্পিত পাঠ গ্রহন ও অগ্রসমান মেধা বিকাশে সহায়ক উপাদান হিসেবে প্রাত্যহিক ডায়েরী ব্যবহার যে কোন ছাত্রে অবশ্যই কর্তব্য । অগ্রসরমান প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান , তথ্য ও কলাকৌশল সাথে দ্রুত নিজেকে সমৃদ্ধি করতে সর্বাাধুনিক জ্ঞান ভান্ডার হিসেবে এটি কাজ করে । ক্লাসের সময় প্রত্যেক ছাত্র , শিক্ষক প্রদত্ত নতুন শব্দ , সঠিক বানান শব্দিক ও আভিধান নির্ভুল অর্থ অত্যান্ত সতর্কতার সাথে ডায়েরীতে লিখা । এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক সকল ঘোষনা , নোটিশ ক্লাস, বন্ধ ও পরীক্ষার সিডিউল ইত্যাদি গুরুত্ব পুর্নূ তথ্যগুলো ডায়েরীতে লিখন । অভিভাবকের সাথে প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকের যোগাাযোগের অন্যতম মাধ্যাম হিসাবে ডায়েরী কাজ করবে । নিয়মত ছাত্রের ডায়েরী পরীবিক্ষণ করা সচেতন সকল আভিভাবকের অতীব প্রয়োজন । কোন অভিযোগ অনুযোগ ও পরামর্শ গ্রহণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে এটি একটি সহজ মাধ্যম হিসাবে প্রতিষ্ঠান ও দায়িত্ব বিষয় শিক্ষকের । এর তদারকিতে থাকবেন শ্রেনী শিক্ষক আর অভিভাবক বৃন্দ মাঝে মধ্যে তা পর্র্যবেক্ষণ করে তার মতামত নির্দিষ্ট স্থানে লিখে দিলে আমরা সফল হবো ইনশাল্লাহ পরিশেষে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলমিনের দরবারে আরজু আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্ঠা কবুল করে আমাদের কে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সঠিক দয়িত্ব পালনে তাওফিক এনায়েত করুন । আমিন ।